
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও থেকে গ্রেফতার ডাকাতি হত্যাসহ অর্ধডজন মামলার আসামী জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলমকে মামলা গোপন করে কোর্টে চালানের অভিযোগ ওঠেছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর জিআর ১২৯/৯৭, ২৬০/২০৩, এসটি ৮০/২০৬, এসটি ১২৭/০১, এসটি ১২৪/৯৮, এসটি ৩২/৯৯সহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামী। কিন্তু গত শনিবার তাকে আদালতে উপস্থাপনের সময় সব মামলা দখানো হয়নি। জামিনযোগ্য মামলাগুলোতে তাকে আসামী দেখানো হয়।
এসব মামলার বাদীরা জানান, তাকে পার পাইয়ে দেয়ার জন্য পুলিশই কাজ করছে। গতকাল শনিবার আদালতে দেখানো মামলার মধ্যে ২টি খারিজ ও একটির এজাহারে তার নাম নাই। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখা দরকার। তবে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুইয়া বলেন, আমাদের হাতে থাকা একটি মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে তার তথ্য আমাদের জানা নেই। এখানে মামলা লোকানোর কিছু আমরা দেখছিনা। গত ৭ আগষ্ট শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়া চরপাড়া থেকে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর গ্রেফতার হন। তিনি ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালু প্রকাশ হাড্ডি কালুর পুত্র। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, জমি সংক্রান্ত বিরোধসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। জাহাঙ্গীর ডাকাতি মামলায় আসামী হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর সৌদি আরব আত্মগোপনে ছিল। ফিরে এসে সে আবারো বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। তার অপকর্মের সহযোগি হিসাবে নিজ ভাই মনজুর আলম, হালাপুতু এবং কালিরছরা এলাকার কালুমেস্ত্রীর ছেলে এনামুল হক কাজ করেন। বিভিন্ন মিশনে নিরাপদ ব্যক্তি হিসাবে তাদের ব্যবহার করেন। এছাড়াও তার বাহিনীতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাও রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। স্থানীয় অধ্যাপক মৃত বেলাল উদ্দীনের পরিবারের সাথে তার পরিবারের বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। অভিযোগ রয়েছে জাহাঙ্গীর মৃত বেলালের স্ত্রীর জমি জোর পূর্বক দখলে নিতে সম্প্রতি নানা প্রচেষ্টা চালায়।
পাঠকের মতামত